এসেছে ফাগুন, এসেছে বসন্ত
নবযৌবনের প্রকৃতি আজ উদ্বেলিত...
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
এসেছে ফাগুন, এসেছে বসন্ত। চারপাশে সুমধুর সুর, মিষ্টি কলতান। প্রকৃতি মেলেছে রঙিন পাখনা। পত্র-পল্লব, তরুলতা ও বৃক্ষরাজিতে সবুজ হাসি। ফুল-পাখি-পতঙ্গের মিলনমেলায় ভাসছে প্রকৃতি-প্রান্তর। সর্বত্র উৎসবের রঙ।
বসন্তের ছোঁয়ায় মেতেছে প্রাণ। শীতের শুষ্কতা মুছে দখিন হাওয়ায় ভর করে এসেছে বসন্ত। প্রকৃতি তাই উদ্বেলিত নবযৌবনের নবরূপ পাওয়ার আশায়।
অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে বসন্তকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিল শিমুল, পলাশ, কনকচাঁপা, রক্তকাঞ্চন, বেলী, কৃষ্ণচূড়ার দল। ঋতুপতিকে কাছে পেয়ে পাতাঝরা গাছটি ব্যস্ত নিজেকে নতুন করে সাজাতে। কচিপাতার সবুজ আঁচলে আবৃত হতে শূন্য গাছটি তার জীর্ণ পাতাগুলোকে তাড়া দিচ্ছে নিচ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। বাংলার পথ-প্রান্তর শোভিত আজ লাল-লিলিমায়। ফাগুনের রঙে রঙিন হতে এসেছে কোকিল, কৃষ্ণচূড়ার ডালে। কুহু কুহু সুরের মূর্ছনায় ভাসাচ্ছে প্রকৃতি।
ফাগুনের রোদেলা দুপুরে বসন্তদূতের মন উজাড় করা সুরে তাল মিলিয়ে ঘুঘুও শোনাচ্ছে জাদুমাখা সুর। টিয়া, শালিক, ফিঙ্গে, পাপিয়া, বৌ কথা কও, বুলবুল আর চড়–ইও বসে নেই। পুষ্পমঞ্জুরিতে আচ্ছাদিত বৃক্ষশাখায় বসে মেতে উঠেছে সবাই। ফুলে ফুলে ঘুরে ব্যস্ত সময় পার করছে রঙিন পাখাওয়ালা প্রজাপতি।
বারো মাসে তের পার্বণের এই দেশে বইছে বসন্তের হাওয়া। গাছে গাছে আম্রমুকুলের ম-ম গন্ধে মাতোয়ারা চারিদিক। ঋতুবৈচিত্র্যে হেমন্তের নবান্ন পেরিয়ে হাড়কাঁপানো শীতকে বিদায় জানিয়ে ঋতুরাজের আগমনী বার্তা প্রকৃতিকে করে তুলেছে অপরূপ।
বটবৃক্ষের ডালে বসা কোকিলের বিরামহীন কুহুতান সরষে ফুলের হলুদাভ মাঠকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বসন্তকে স্পর্শ করতে। ফাগুনের আগুনঝরা দিনে মধুকণ্ঠী কোকিল সুরে সুরে মাতিয়ে রাখছে দেহে জড়ানো বাসন্তিরঙা শাড়ি ও মাথায় পুষ্পমুকুট এবং হাতে গাঁদা ফুলের মালায় কারও জন্য অপেক্ষারত বালিকাকে।
বসন্ত শুধু প্রকৃতি, কীটপতঙ্গ, ফুল-ফল, পশু-পাখিকেই স্পর্শ করেনি, নাড়া দিয়েছে কবি মনকেও। সুদূর অতীত থেকে বর্তমান অবধি কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিকেরা বসন্তকে নিয়ে রচনা করেছেন অসংখ্য গান, কবিতা, প্রবন্ধ ও গল্প। মধ্যযুগের শক্তিমান কবি ভারতচন্দ্র রায় তার অন্নদামঙ্গল কাব্যে বসন্তকে রাজা বলে আখ্যায়িত করেছেন। ষড়ঋতুর শেষ ঋতুটি যে ‘ঋতুরাজ’ তা কবির ছন্দময় কবিতায় ফুটে উঠেছে সুন্দরভাবে-‘কল কোকিল অলিকুল বকুল ফুলে।/বসিলা অন্নপূর্ণা মণি-দেউলে।/ বসন্ত রাজা আনি ছয় রাগিণী বাণী।/ পাতিল রাজধানী অশোকমূলে।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার গীতাঞ্জলি কাব্যে বসন্তকে দেখেছেন এমনভাবে- ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।/ তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/কোরো না বিড়ম্বিত তারে।/আজি খুলিও হৃদয় দ্বার খুলিও,/ আজি ভুলিও আপনপর ভুলিও,/এই সংগীত-মুখরিত গগনে/ তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিও।’ কবিগুরু সুরের মূর্ছনায় ঋতুরাজকে বরণ করতে উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। কবির সুরে সুর মিলিয়ে বসন্তবরণ করছে আজ বাঙালি।
নিউজওয়ান২৪/আ.রাফি
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ